পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় স্বল্পমূল্যের চাল বিক্রিতে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ডিলারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে চন্ডিপুর বাজারে চাল বিতরণের সময় এমন অনিয়মের অভিযোগ করেন সুবিধাভোগীরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডিলার নবীন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুল হাই জোমাদ্দার চাল মাপার যন্ত্র ব্যবহার না করে বালতি দিয়ে ৩০ কেজির চাল বিতরণ করছেন। তবে অন্য স্থানে ওজন করলে দেখা যায়, প্রতিজন কার্ডধারী গড়ে ২ থেকে ৩ কেজি করে কম চাল পাচ্ছেন।
সুবিধাভোগীরা জানান, প্রতি মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় জনপ্রতি ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার নিয়ম থাকলেও প্রকৃতপক্ষে ২৭ থেকে ২৮ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে। একজন কার্ডধারী অভিযোগ করেন, “আমরা ১৫ টাকা কেজি দরে টাকার পুরো মূল্য দিই, কিন্তু চাল নিয়ে ওজন করলে সবসময়ই ২ থেকে ৩ কেজি কম পাই।”
এলাকাবাসীর ভাষায়, অক্টোবর মাসের খাদ্যবান্ধব চাল বিতরণের সময় ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে এ অনিয়ম নিয়মিতভাবে ঘটছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিলার আব্দুল হাই জোমাদ্দার বলেন, “আস্ত বস্তা হলে সমস্যা হইত না। আমরা ১৭ লিটার বালতি দিয়ে মাপি, সামান্য কমবেশি হইতে পারে। সকাল থেকে ১৫০ জন সুবিধাভোগীকে চাল দেওয়া হয়েছে, এখন একুরেট মেপে দিচ্ছি।”
তবে অভিযোগের বিষয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান বীন মুহাম্মদ আলী বলেন, “অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ডিলারের বিরুদ্ধে তদন্ত ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।