দীর্ঘ এক যুগ পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দলীয় নিবন্ধন ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্টের আগের রায় বাতিল করে রোববার (১ জুন) সন্ধ্যায় সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করেছে আপিল বিভাগ এবং তা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সকালেই প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের ২০১৩ সালের রায় বাতিল করে দেন। এতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ নয় এবং নির্বাচন কমিশনকে দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে।
চার সদস্যের এই বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন— বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক।
মামলাটি কার্যতালিকার এক নম্বরে ছিল এবং শুনানি শেষে ১৪ মে আদালত রায়ের জন্য আজকের দিন (১ জুন) ধার্য করেন।
২০০৯ সালে জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আবেদন করা হয়। এর ভিত্তিতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দিয়ে দলটির নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে।
সেই রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল (লিভ টু আপিল) করে জামায়াতে ইসলামী এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ২০২৫ সালের ১ জুন আপিল বিভাগ চূড়ান্ত রায় দেয়।
এই রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের সামনে ভোটের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হলো।
যদিও আপিল বিভাগ দলটির পুরাতন প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি, বরং সেটি নির্বাচন কমিশনের বিবেচনায় ছেড়ে দিয়েছে।
এই ঐতিহাসিক রায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না—এটি এখন নির্বাচন কমিশনের বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করছে।