চলতি অর্থবছরের যেকোনো মাসের তুলনায় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে সদ্য সমাপ্ত নভেম্বর মাসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নভেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, যা অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রবাসী আয়ের এই প্রবাহে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। শুধুমাত্র বেসরকারি খাতের ব্যাংকের মাধ্যমেই এসেছে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
এ ছাড়া
-
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৮ কোটি ৭৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার
-
বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৯ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার
-
বিদেশি খাতের ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার
এর আগে অক্টোবর মাসে দেশে এসেছিল ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার, আর সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আগস্টে এসেছিল ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার, এবং জুলাইয়ে রেমিট্যান্স ছিল ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈধ চ্যানেলে ও হুন্ডিতে ডলারের রেটের ব্যবধান কমে আসা, মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রণোদনা ও নজরদারি বাড়ানোয় প্রবাসী আয়ের প্রবাহ আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
নভেম্বরের এই রেকর্ড রেমিট্যান্স আগামী মাসগুলোতেও স্থিতিশীল থাকতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থনীতিবিদরা।