
পিরোজপুর-২ আসনের (নেছারাবাদ, কাউখালী ও ভান্ডারিয়া) জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী জননেতা শামীম সাঈদী বলেছেন,
“স্বাধীনতার পর গত ৫৪ বছরে জামায়াতের কোনো নেতা–কর্মী হিন্দু ভাই–বোনদের ওপর হামলা বা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণের সঙ্গে জড়িত ছিল না। জামায়াতে ভোট দিলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও নিরাপদ থাকবে।”
শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নেছারাবাদ উপজেলার ৪ নং আটঘর–কুড়িয়ানা ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শামীম সাঈদী বলেন, “আমরা নারীদের জোর করে হাতমোজা বা পায়েমোজা পরাতে চাই না। ইসলাম শান্তির ধর্ম, এখানে উগ্রতার কোনো জায়গা নেই। জামায়াত পরিচালিত সব প্রতিষ্ঠানেই নারীরা নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে কাজ করেন। ইসলাম কখনো নারীদের অসম্মান করে না।”
ভোটের গুরুত্ব নিয়ে তিনি আরও বলেন, “টাকার বিনিময়ে ভোট বিক্রি করা আমানতের খেয়ানত। যারা টাকা দিয়ে ভোট নেয়, তারা ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের টাকার উন্নয়ন প্রকল্প আত্মসাৎ করে। সৎ, ন্যায় ও ইনসাফের পক্ষে দাঁড়াতে হলে আমানত রক্ষা করতে হবে।”
দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও সুশাসনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিতে হবে। রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে উন্নয়ন, সুশাসন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়াই হবে জামায়াতের প্রধান কাজ।”
সমাবেশে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সুধীজন ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা শান্তি, সহাবস্থান ও উন্নয়নের পক্ষে ভোটারদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।