ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নামার পরেই দলীয় ৯ রানের মধ্যে প্রথম সারির দুই ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম এবং লিটন কুমার দাস আউট হন। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে আলজারি জোসেফের বলে ক্যাচ তুলে দেন তারা।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে পরাজয়ের পর ধবলধোলাই এড়াতে আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে টাইগাররা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৯৪ রান করেও ৫ উইকেটের ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ২২৭ রানে অলআউট হয়ে যায় দল, যেখানে ক্যারিবীয়ানরা সহজেই ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয়। এই পারফরম্যান্সে সিরিজ হেরে যায় বাংলাদেশ।
১০ বছর পর ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সর্বশেষ ২০১৪ সালে বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করেছিল ক্যারিবীয়ানরা।
সিরিজ হারের পর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাটারদের দোষারোপ করে বলেছেন, “মাঝের ওভারগুলোতে ভালো ব্যাট করতে পারিনি। তেমন কোনো বড় জুটি পাইনি, আর পিঠাপিঠি উইকেট পড়েছে বারবার।”
তবে মিরাজ বোলারদের প্রশংসা করেছেন এবং জানিয়েছেন, “২২৮ রান নিয়ে এই ধরনের উইকেটে বোলারদের কাজ কঠিন। তবে প্রথম ১০ ওভারে আমরা ভালো বল করেছি।”
পেস বোলার তানজিম সাকিব দলের ব্যাটিং নিয়ে বলেন, “ব্যাক টু ব্যাক উইকেট হারানোর কারণেই পিছিয়ে পড়েছি। যদি সেখান থেকে ভালো জুটি গড়া যেত, তাহলে বড় রান হতো।”
বাংলাদেশ:
তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ:
ব্র্যান্ডন কিং, এলিক অ্যাথেঞ্জ, কেসি কার্টি, শাই হোপ (অধিনায়ক), শেরফেন রাদারফোর্ড, রোস্টন চেজ, রোমারিও শেফার্ড, আমির জেনগো, গুদাকেশ মতি, আলজারি জোসেফ ও জেডেন সিলস।
এখন পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের মধ্যে ৪৬টি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ২১টি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩টি।
ধবলধোলাই এড়াতে আজকের ম্যাচে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। তবে শুরুতেই বিপর্যয় তাদের জন্য আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।