বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ এখনো শেষ হয়নি, যদিও এর জন্য নির্ধারিত সময়সীমা অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে। নতুন বছরের প্রথম দিন প্রধান ফটক দিয়ে স্টেডিয়ামের ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন সাংবাদিকরা। তবে বাইরে থেকে দেখা গেছে, স্টেডিয়ামের বিভিন্ন অংশে কাজ চলছে। মাঠের পরিচর্যা, গ্যালারির ঘষামাজা, এবং প্রধান ফটকের বর্ধিতকরণের কাজ এগিয়ে চলছে।
স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশের গ্যালারিতে চেয়ার বসানো সম্পন্ন হয়েছে এবং ছাদ ও ছাউনি স্থাপন করা হয়েছে। তবে পূর্ব পাশের গ্যালারি এখনো প্রস্তুত নয়। সেখানে চেয়ার বসানো এবং অন্যান্য মেরামতকাজ চলছে। এনএসসির পুরোনো ভবনের সামনের রাস্তা সংস্কার করা হলেও চারপাশের গোলাকার রাস্তার কাজ বাকি।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব বিভিন্ন সময়ে বলেছিলেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হবে। কিন্তু বছরের শেষেও ফ্লাডলাইট স্থাপনসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজ অসম্পূর্ণ।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, জানুয়ারির মধ্যে মাঠ খেলার উপযোগী হবে। তবে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেছেন, প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। ফ্লাডলাইট ছাড়া সব কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা সম্ভব হয়নি।
প্রকল্প পরিচালক শামছুল আলম জানিয়েছেন, স্ট্রাকচারাল কাজ শেষ হলেও, রাস্তা এবং পূর্ব পাশের গ্যালারির চেয়ার বসানোর কাজ বাকি। গ্যালারির ছাউনি বিদেশ থেকে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি আশা করছেন, ফ্লাডলাইট ছাড়া এক মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।
প্রকল্পের বাজেট ৬০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ১৫৮ কোটি ৪৫ লাখে পৌঁছেছে। ২০২১ সালের মাঝামাঝি শুরু হওয়া এই প্রকল্প ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো অসম্পূর্ণ।
অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক প্রস্তুত হয়ে গেলেও ফুটবল মাঠ কবে ব্যবহার উপযোগী হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। বাফুফে এবং এনএসসি যৌথভাবে কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছে।
সংস্কারকাজের দীর্ঘসূত্রিতা এবং বাজেট বৃদ্ধি শুধু সময় নয়, জাতীয় ক্রীড়া উন্নয়নের পরিকল্পনার ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এই প্রকল্পের সমাপ্তি কবে হবে এবং বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাবে, তা সময়ই বলে দেবে।