হজযাত্রাকে সহজ, নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে ‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’ চালুর নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় হজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “হজ পালন সহজ করার জন্য আমরা একটি সুযোগ পেয়েছি, যা সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। একজন হজযাত্রীও যেন কোনো ভোগান্তির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশেই একটি হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার স্থাপন করতে হবে, যাতে সার্বক্ষণিক তদারকি ও সেবা নিশ্চিত করা যায়। কল সেন্টারে আসা অভিযোগগুলো তাৎক্ষণিকভাবে মনিটরিং করতে হবে। একই সঙ্গে একটি ওয়েবসাইট চালু করতে হবে, যেখানে হজযাত্রীরা যুক্ত থাকতে পারবেন, অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির লোকেশন খুঁজে পাওয়া যাবে।”
প্রধান উপদেষ্টা কল সেন্টারে আসা অভিযোগগুলো নিয়মিত লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “অভিযোগগুলোর সমাধান কীভাবে হচ্ছে, তার তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। একই সমস্যা যেন পরের বছর না ঘটে, সে জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।”
ড. ইউনূস দেশের লাইসেন্সপ্রাপ্ত হজ এজেন্সিগুলোর দায়িত্ব সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে বুকলেট আকারে এবং অনলাইনে প্রকাশের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “যেসব এজেন্সি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।”
হজযাত্রীদের সচেতন করতে বিষয়ভিত্তিক ভিডিও তৈরির নির্দেশনা দেন তিনি। এ বিষয়ে বলেন, “হজযাত্রার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে, হারিয়ে গেলে বা কোরবানির সময় সমস্যায় পড়লে কী করণীয়—এমন ভিডিও তৈরি করে দেখালে তারা প্রস্তুত থাকতে পারবেন।”
এছাড়া, আগামী বছর থেকে হজ ক্রেডিট কার্ড চালু এবং লাগেজ ব্যবস্থাপনার জন্য ট্যাগ কপি সংরক্ষণ করার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার ফলে হজযাত্রীদের ভোগান্তি কমবে এবং হজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত ও প্রযুক্তিনির্ভর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।