ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেঁতুলিয়া নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগে সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবককে আটক করেছে প্রশাসন। অভিযানে একটি ড্রেজার মেশিন ও ৫ হাজার ঘনফুট বালু ভর্তি বলগেট জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মোঃ মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানটি তেঁতুলিয়া নদীর গংগাপুর অংশের ইকোপার্ক এলাকার চরে পরিচালিত হয়।
সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, “তেঁতুলিয়া নদী থেকে একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে বেশিরভাগ অভিযুক্ত পালিয়ে গেলেও সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়। পাশাপাশি একটি ড্রেজার মেশিন ও ৫ হাজার ঘনফুট বালু ভর্তি বলগেট জব্দ করা হয়েছে।”
জব্দকৃত ড্রেজার ও বালুভর্তি বলগেট বর্তমানে মির্জাকালু পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের জিম্মায় রাখা হয়েছে। খালে ভাটা থাকায় জোয়ারের সময় বলগেটটি স্থানান্তর করতে বেশ সময় লেগেছে।
অভিযান শেষে অবৈধভাবে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী আব্দুস শহিদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। অভিযানে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশ সহায়তা প্রদান করে।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, “অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল ইসলামকে আদালতে পাঠানো হবে।”
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হানউজ্জামান বলেন, “তেঁতুলিয়া নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রতিরোধে অভিযান চলমান থাকবে। অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।”
অভিযানের সময় উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তেঁতুলিয়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর পাড় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। প্রশাসনের এমন উদ্যোগে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
অবৈধ বালু উত্তোলন প্রতিরোধে প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান নদী ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তবে পালিয়ে যাওয়া অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে স্থানীয়রা মনে করেন।