বিদেশের বিভিন্ন বন্দরে জাহাজ থেকে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের ১৯ জন নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন নৌ আদালত। নৌপরিবহন অধিদপ্তর সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে পলাতক নাবিকদের বিষয়ে তথ্য প্রদান করতে সংশ্লিষ্ট থানা বা নৌপরিবহন অধিদপ্তরে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।
বিজ্ঞপ্তিতে পলাতক নাবিকদের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে। এই ১৯ নাবিক ১৩টি জাহাজ থেকে পালিয়ে যান। জাহাজগুলো বিদেশের বিভিন্ন বন্দরে অবস্থানকালে তাঁরা বন্দর ত্যাগ করে আর জাহাজে ফেরেননি।
আঞ্চলিক বিভাজন, নোয়াখালী: ৫ জন, চট্টগ্রাম: ৫ জন, ফেনী: ২ জন, অন্যান্য জেলা: ৭ জন।
১৩টি জাহাজের মধ্যে তিনটি বাংলাদেশের পতাকাবাহী এবং বাকি ১০টি বিদেশি পতাকাবাহী। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ মেঘনা অ্যাডভেঞ্চার থেকে একসঙ্গে চারজন নাবিক পালিয়েছেন।
২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর এই জাহাজটি রাশিয়া থেকে পণ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অর্লিন্স বন্দরে যাওয়ার পথে মিসিসিপি নদীতে অবস্থান করছিল। ওই সময় চারজন নাবিক জাহাজ থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যান।
নৌ আদালত এই ১৯ জন নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। নৌপরিবহন অধিদপ্তর জানিয়েছে, পলাতক নাবিকদের বিষয়ে কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা নিকটস্থ থানা বা নৌপরিবহন অধিদপ্তরে জানাতে হবে।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সূত্র মতে, এই ঘটনা আন্তর্জাতিক শিপিং খাতে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া দেশের পতাকাবাহী জাহাজগুলোতে নাবিক সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নাবিকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কড়াকড়ি আরোপের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।