ইরানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইহুদিবাদী ইসরায়েলের কাছ থেকে হাজার হাজার গোপন ও সংবেদনশীল নথি উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবি। এসব নথির মধ্যে রয়েছে নেগেভ মরুভূমির ডিমোনা পারমাণবিক স্থাপনার উচ্চমাত্রায় গোপন তথ্য।
আইআরআইবি-কে দেওয়া তথ্যে জানানো হয়, এই গোপন অভিযানটি কিছুদিন আগেই সম্পন্ন হয়েছে, তবে নথিপত্র বিশাল পরিমাণের হওয়ায় এবং নিরাপদে ইরানে স্থানান্তরের প্রক্রিয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়নি।
সূত্রগুলো জানায়, “নথিপত্র এত বেশি যে, সেগুলো যাচাই, বিশ্লেষণ ও ছবি ও ভিডিও পর্যবেক্ষণে দীর্ঘ সময় লাগছে।”
তারা আরও দাবি করে, “এটি ইসরায়েলের ওপর একটি বড় ধাক্কা, যা ভবিষ্যতে কৌশলগত প্রভাব ফেলতে পারে।”
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দুই তরুণকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছিল ২০ মে, যাদের বিরুদ্ধে ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রয় মিজরাহি, আলমোগ আতিয়াস, দুজনেরই বয়স ২৪ বছর।
ইসরায়েলের পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সিন বেত (Shin Bet) জানায়, এই দুজন দখলকৃত দক্ষিণাঞ্চলের কফার আহিম এলাকায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজকে অনুসরণ করছিলেন।
ইরানি গণমাধ্যম দাবি করেছে, ওই গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে ইসরায়েলি নথি সফলভাবে ইরানে পৌঁছানোর পর। অর্থাৎ, ইরান সফলভাবে নিজের উদ্দেশ্য পূরণ করে তবেই বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “এই ঘটনা ইরান-ইসরায়েল সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটাবে। পারমাণবিক তথ্য ফাঁস হলে তা শুধু নিরাপত্তা নয়, কূটনৈতিক সম্পর্কেও বড় প্রভাব ফেলবে।”
এই ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে, মধ্যপ্রাচ্যে গুপ্তচরবৃত্তি ও সাইবার যুদ্ধ কতটা জটিল ও গভীর পর্যায়ে পৌঁছেছে। পরবর্তী ধাপ কী হবে তা নির্ভর করবে ইসরায়েল ও ইরানের কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার ওপর।