ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শঙ্করপুর গ্রামে ছেলের কোদালের আঘাতে শাহাদাত হোসেন (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পারিবারিক জমিতে কাজ করার সময় এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত শাহাদাত হোসেন ওই গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয়ভাবে পরিচিত জামায়াতপন্থি একজন ব্যক্তি। তিনি তাইজেল হোসেন ওরফে তাজেলের ছেলে। অভিযুক্ত ছেলে ফয়সাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে পিতা-পুত্র মিলে ঝালের ক্ষেতে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ফয়সাল হাতে থাকা কোদাল দিয়ে বাবার মাথায় সজোরে আঘাত করেন। শাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
প্রতিবেশী আবদার হোসেন বলেন, “কাজ করতে করতে হঠাৎ ঝগড়া শুরু হয়। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে কোদাল দিয়ে বাবাকে আঘাত করে। মুহূর্তেই রক্তে ভেসে যায় পুরো জায়গা।”
আরেক প্রতিবেশী আলী আজম জানান, “নিহত শাহাদাত হোসেন জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার ছেলে মানসিক রোগী। এর আগেও সে তার মাকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠিয়েছিল।”
ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী ফয়সালকে আটক করে স্থানীয় বেতাই পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন।
বেতাই ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ফয়সালকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”
ঝিনাইদহে এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, মানসিক স্বাস্থ্য অবহেলা কীভাবে ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। স্থানীয়দের মতে, ফয়সাল নিয়মিত চিকিৎসা পেতেন না, যা তার মানসিক পরিস্থিতিকে আরও অবনতি করে তোলে।