
জর্জিয়ার পার্লামেন্ট ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক ফুটবলার মিখাইল কাভেলাশভিলিকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছে। ৫৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিক এবং সাবেক ফুটবলারের নির্বাচনে ৩০০ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ২২৪ জন তার প্রার্থিতায় সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি একমাত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন।
মিখাইল কাভেলাশভিলি বর্তমানে ক্ষমতাসীন জোটের সদস্য এবং তার রাশিয়াপন্থী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন-বিরোধী মনোভাবের জন্য পরিচিত। ২০২২ সালের গ্রীষ্মে তিনি পিপলস পার্টিতে যোগ দেন, যা পার্লামেন্টে আটটি আসন পেয়েছে এবং ক্ষমতাসীন জোটের শরীক। এর আগে তিনি জর্জিয়ান ড্রিম দলের সদস্য ছিলেন।
জর্জিয়া একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্র, যেখানে নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে। প্রেসিডেন্টের ভূমিকা মূলত আনুষ্ঠানিক। এই প্রথমবারের মতো জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট জনপ্রিয় ভোটের পরিবর্তে এমপিদের দ্বারা নির্বাচিত হলেন।
কাভেলাশভিলির নির্বাচনের পর রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভ শুরু হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা হাতে বিক্ষোভকারীরা বিদায়ী পশ্চিমাপন্থী প্রেসিডেন্ট সালোমে জোরাবিচভিলির নাম নিয়ে স্লোগান দেন।
সালোমে জোরাবিচভিলি তার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রপতি প্রাসাদ ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “যখন নির্বাচনের মাধ্যমে বৈধভাবে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তখন আমি সানন্দে আমার আসনটি তার কাছে ছেড়ে দেব।”
মিখাইল কাভেলাশভিলি একজন সফল ফুটবলার ছিলেন। তিনি ম্যানচেস্টার সিটি, দিনামো তিবিলিসি, স্পার্তাক ভ্লাদিকাকজ, বাসেল এবং জুরিখের গ্রাসহোপার্সসহ বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। ক্যারিয়ারে তিনি মোট ১৬৬ গোল করেছেন এবং জর্জিয়ার জাতীয় দলের হয়ে ৪৬টি ম্যাচ খেলে ৯টি গোল করেছেন।
মিখাইল কাভেলাশভিলির নির্বাচনে জর্জিয়ার রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। তবে তার রাশিয়াপন্থী নীতির কারণে দেশটির ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।