আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে শুক্রবার (৯ মে) জুমার নামাজের পর শুরু হয়েছে বড় জমায়েত। এনসিপি, হেফাজত, এবি পার্টি, জামায়াত, ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।
বেলা ২টা ৪০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে এই জমায়েতের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। যমুনার পশ্চিম পাশে ফোয়ারার সামনে তৈরি অস্থায়ী মঞ্চ থেকে “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই”, “নো মোর আওয়ামী লীগ” সহ নানা স্লোগান শোনা যায়।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, “আমাদের লড়াই মাত্র শুরু হয়েছে। যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা রাজপথ ছাড়ব না।”
মঞ্চ থেকে চলা বক্তৃতার পাশাপাশি চলে কবিতা আবৃত্তি ও প্রতিবাদী স্লোগান। পরীবাগ থেকে ফোয়ারা পর্যন্ত সড়কে লাল রঙে লেখা হয় বার্তা, “ক্ষমতা না জনতা?” “চেয়ারের লোভ করে যে, আস্তাকুঁড়ে মরে সে।”
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে যমুনার সামনে শুরু হয় অবস্থান কর্মসূচি। এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ এই কর্মসূচির সূচনা করেন।
পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে যুক্ত হন এনসিপি, হেফাজত, এবি পার্টি, জামায়াত, ছাত্রশিবির ও অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঘোষণা দেন—জুমার পর হবে বড় জমায়েত। পাঁচটি পিকআপ একত্র করে সামিয়ানা দিয়ে তৈরি করা হয় অস্থায়ী মঞ্চ, যেখান থেকে পুরো কর্মসূচি পরিচালিত হয়।