1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইন্দুরকানীতে সিএনজির ধাক্কায় বৃদ্ধ পান ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু ঝিনাইদহে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই স্মরণে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত জর্ডান কক্সের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ১১ ছক্কা ও ১১ চারে রেকর্ড গড়া ১৩৯ রংপুরে ‘অর্জন’ ভাস্কর্যে শেখ মুজিবের ছবি মুছে দিলেন শিক্ষার্থীরা ছাত্রদল কর্মীদের সংঘর্ষে মঠবাড়িয়ায় প্রাণ গেল মুবিনের জামালপুরে গুপ্ত তৎপরতার বিরুদ্ধে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ গোপালগঞ্জে সহিংসতা, শুক্রবার পর্যন্ত কারফিউ বহাল ম্যাক্স সিক্সটি লিগে মায়ামি ব্লেজের নেতৃত্বে সাকিব আল হাসান

ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর তথ্য ফাঁসের ঘটনায় আফগানদের জীবন হুমকির মুখে, সুপার ইনজাংশনে ঘটনা গোপন

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫
আফগানদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে তথ্য ফাঁস গোপন রেখেছিল ব্রিটিশ সরকার

এক নজিরবিহীন নিরাপত্তা ভঙ্গের ঘটনায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ভুল করে হাজার হাজার আফগান নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে ফেলে, যা তাঁদের জীবন চরম ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়। ঘটনাটি ঘটে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, যখন এক ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা ভুলক্রমে আফগানদের কাছে প্রায় ৩৩ হাজার আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্যসহ একটি ডেটাবেস পাঠিয়ে দেন।

এই ফাঁস হওয়া তথ্য এক তৃতীয় পক্ষের হাতে পৌঁছায়, যিনি তা ফেসবুকে প্রকাশ করার হুমকি দেন। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেন, তালেবান যদি এই তথ্য সংগ্রহ করতে পারত, তাহলে তালিকাভুক্তদের একে একে হত্যা করা হতো। ফলে এটি কার্যত এক ‘মৃত্যু তালিকায়’ পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্রিটিশ সরকার ‘অপারেশন রুবিফিক’ নামে এক গোপন উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে, যেখানে প্রায় ৭ বিলিয়ন পাউন্ড বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর আওতায় আফগানিস্তান থেকে জরুরি ভিত্তিতে লোক সরিয়ে আনার জন্য ইতিহাসের অন্যতম বড় ইভাকুয়েশন মিশন চালানো হয়।

ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ব্রিটিশ সরকার ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে একটি ‘সুপার ইনজাংশন’ গ্রহণ করে, যার ফলে আদালতের অনুমতি ছাড়া এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ কিংবা আলোচনা নিষিদ্ধ ছিল। যদিও বিচারক চ্যাম্বারলেইন ২০২৪ সালের মে মাসে তা প্রত্যাহার করেন, তবুও কনজারভেটিভ সরকার এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসা লেবার সরকার পুনরায় তা বহাল রাখে।

স্বাধীন পর্যালোচনায় জানা গেছে, তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তালেবান কর্তৃক হামলার আশঙ্কা অনেকটাই কমে এসেছে। তবে প্রায় ৯০০ আফগান নাগরিক ইতোমধ্যেই ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, ব্রিটিশ সরকার তাঁদের জীবনের ঝুঁকি সম্পর্কে কোনো ধরনের সতর্কতা দেয়নি এবং বরং বিষয়টি চেপে গিয়েছিল।

এ ঘটনায় সরকারের আইনি ব্যয় প্রায় ২৫০ মিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তালিকায় থাকা অনেকেই ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে দোভাষী বা সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন, অথবা ‘আফগান রিলোকেশন স্কিম’-এর আওতায় যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন।

‘দ্য টাইমস’-এর তথ্য অনুযায়ী, র‍্যাচেল রিভসের নেতৃত্বে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে যুক্তরাজ্যে আফগানদের আনার জন্য ২৫ হাজার জনের বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়, যা পরে বাড়িয়ে ৪২ হাজার ৫০০ করা হয়। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৫০০ জন ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। ভবিষ্যতে আরও ৫ হাজার ৪০০ জন পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যদিও বাকিদের বিষয়ে এখনো কোনো পরিকল্পনা নেই।

বিচারক চ্যাম্বারলেইন মন্তব্য করেন, “যে সিদ্ধান্তে হাজার হাজার মানুষের জীবন ও বিপুল পরিমাণ অর্থ জড়িত, সেটি জনসাধারণ ও সংসদের অজানায় রাখা সাংবিধানিকভাবে অগ্রহণযোগ্য।”

উল্লেখ্য, এখনো ধারণা করা হয়—আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং যুক্তরাজ্যের কিছু ব্যক্তির কাছে ফাঁস হওয়া তালিকার কপি রয়েছে এবং অন্তত একটি কপি বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে।

এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্রিটিশ সরকারের মানবাধিকার নীতিমালা, স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যা তাদের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও দুর্বল করে তুলেছে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট