ঢাকা সিটি করপোরেশনে বহিরাগত উপদেষ্টা ও প্রশাসকদের নিয়োগের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিএনপির নেতা ও ঢাকা দক্ষিণের নির্বাচিত মেয়র ইশরাক হোসেন। নগরবাসী ও ভোটারদের এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শনিবার (৭ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
ইশরাক লেখেন, “ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণ থেকে বহিরাগত উপদেষ্টা ও প্রশাসক মুক্ত করতে ঢাকা নগরবাসী ও ভোটারদের এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সময়ের অন্যতম বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় সংশোধনী না করা পর্যন্ত এদের কালো থাবা থেকে দুই ঢাকা সিটি করপোরেশনকে মুক্ত করতে হবে।”
নিজের পোস্টে ক্ষমতাসীন দলের উদ্দেশে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে ইশরাক আরও বলেন, “ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সেটআপ দিবা, জনরোষে পড়ে নিজ জেলায় যাওয়ার সুযোগ নাই দেখে ঢাকার একখান সিট ধইরা হাসিনার মতো ভোট ডাকাতির সেটআপ দিবা… টেন্ডার/বদলি সহ হাসিনার লুটপাটের সাথে পাল্লা দিবা, আর নগরবাসী আঙুল চুষবে, না?” এই পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন (ইসি) এক গেজেট প্রকাশ করে আদালতের নির্দেশে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে। তবে এখনও পর্যন্ত শপথ নিতে পারেননি তিনি।
এই শপথ গ্রহণে বিলম্বের বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার একটি ফেসবুক পোস্ট বিতর্ক তৈরি করে। ইশরাক তার পদত্যাগের জোর দাবি জানিয়ে আসছেন।
সম্প্রতি আরেকটি ফেসবুক পোস্টে ইশরাক দাবি করেন— “আসিফ মাহমুদসহ অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ অথবা তারা যেন পরবর্তী নির্বাচনে অংশ না নেয়—এই মর্মে লিখিত বন্ড দিতে হবে।”
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন দীর্ঘদিনের। ইশরাক হোসেনের সাম্প্রতিক বক্তব্যে স্থানীয় সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক সমঝোতা এবং প্রশাসনিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।