ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা এবং জাতীয় পুনর্বাসন কার্যক্রম সহজ করার লক্ষ্যে মিয়ানমারের জান্তা সরকার যুদ্ধবিরতি ৩০ জুন পর্যন্ত সম্প্রসারণ করেছে।
রোববার (১ জুন) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন মায়ানমার ইন্টারন্যাশনাল টিভি এক ঘোষণায় জানায়, এই নতুন যুদ্ধবিরতি ১ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে এবং তা চলবে ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত।
গত ২৮ মার্চ মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্প আঘাত হানে, যাতে ৩,৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।
এরপর চলমান উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের সহায়ক হিসেবে ৬ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল জান্তা সরকার।
নতুন যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য হলো— ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসনের কাজ সহজ করা, জাতীয় শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা, সংঘাত হ্রাসের মাধ্যমে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
শনিবার দেওয়া এক ঘোষণায় সেনাবাহিনী জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন এবং অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে অনুরোধ করেছে, যেন তারা— পরিবহন রুট, বেসামরিক নাগরিক, নিরাপত্তা বাহিনী ও সামরিক পোস্টে হামলা থেকে বিরত থাকে,নতুন সদস্য নিয়োগ বা আঞ্চলিক সম্প্রসারণ না করে শান্তি বজায় রাখে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা বলছে, মিয়ানমারের যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে আন্তরিকতা নিয়ে সংশয় থাকলেও, মানবিক সহায়তার প্রেক্ষাপটে এ ধরনের ঘোষণা ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
মিয়ানমারের এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে ভূমিকম্প পরবর্তী মানবিক সহায়তা কার্যক্রমকে প্রাধান্য দেওয়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
তবে এটি কতটা বাস্তবায়িত হবে এবং সংঘাত-কবলিত এলাকাগুলোতে কীভাবে প্রভাব ফেলবে, তা ভবিষ্যতের পর্যবেক্ষণেই স্পষ্ট হবে।