মাত্র ১০ মাসে তিনটি ভিন্ন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম বদলে এবার জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-তে যোগ দিয়েছেন জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম মিন্টু। সম্প্রতি এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির একটি বিজ্ঞপ্তিতে তার নাম উপজেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
সোমবার দুপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে মাদারগঞ্জ উপজেলা সমন্বয় কমিটি প্রকাশ করা হয়। সেখানে সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলমের স্বাক্ষরে মাজহারুল ইসলাম মিন্টুর নাম দেখা যায়।
তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২২ নভেম্বর মাজহারুল ইসলাম মিন্টু উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির ১ নম্বর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
এরপর চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি জামালপুর জেলা জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস)-এর যুগ্ম আহ্বায়ক মনোনীত হন। আর এর প্রায় চার মাস পর, জুন মাসে, তিনি এনসিপির মাদারগঞ্জ উপজেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী হলেন।
চরপাকেরদহ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, “মিন্টু আমাদের যুবলীগ কমিটির সহসভাপতি। তিনি এখনো পদত্যাগ করেননি।”
অন্যদিকে উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হামিদুর রহমান জানান, “মিন্টু আমাদের এক নাম্বার কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। কিন্তু তিনি তার পছন্দমতো পদ না পাওয়ায় মৌখিকভাবে পদত্যাগ করেছিলেন।”
জেলা জিসাস আহ্বায়ক রুবেল আহমেদ বলেন, “মিন্টু এনসিপির কমিটিতে আছেন জেনে আমি অবাক হয়েছি। তিনি জিসাস থেকে এখনও পদত্যাগ করেননি। তার বিরুদ্ধে শিগগির সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির যুগ্ম-আহ্বায়ক হিফজুর রহমান বকুল বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকেরই রাজনীতি করার অধিকার আছে। মিন্টু যদি মনে করেন, এনসিপির গণআন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে কাজ করা উচিত, তাহলে সেটি তার স্বাধীনতা।”
মাজহারুল ইসলাম মিন্টু দাবি করেছেন, “আমি যুবলীগের কমিটিতে ছিলাম না। আর কে বা কারা গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপিতে আমার নাম দিয়েছে, আমি জানি না। তবে আমি বর্তমানে জিসাসের সঙ্গেই আছি।”