বর্তমানে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রতারণার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। ই-কমার্স, ক্রাউডফান্ডিং, অনলাইন ব্যবসা কিংবা অফলাইন বিনিয়োগের নাম করে কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে। এমন পরিস্থিতিতে জনগণকে সতর্ক করে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, কিছু অননুমোদিত ও নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত প্রতিষ্ঠান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ওয়েবসাইট ও অফলাইন মাধ্যমে ‘অস্বাভাবিক রিটার্ন’–এর প্রলোভন দেখাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানের লোকজন ওটিপি (OTP) সংগ্রহ করে গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ আত্মসাৎ করছে। হজের টাকা, সরকারি ভাতা বা সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির নামে প্রলোভন দেখিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করছে এসব চক্র।
‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন, ২০২৪’–এর ধারা ৪, ১৫ ও ১৮(৪) অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক এই সতর্কবার্তা জারি করেছে। এতে বলা হয়, অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেনে প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ নেই। কোনো প্রতারণার শিকার হলে তার সম্পূর্ণ দায়ভাগ গ্রাহককেই বহন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্কতামূলক বার্তায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছে, অস্বাভাবিক লাভের লোভে পা দেবেন না, অতিরিক্ত মুনাফার প্রতিশ্রুতি সন্দেহজনক, লেনদেনের আগে প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন ও বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করুন, ওটিপি বা ব্যক্তিগত তথ্য কাউকে শেয়ার করবেন না, এমনকি পরিচিত হলেও নয়, সরকারি সহায়তা বা ভাতার নামে আসা লিঙ্ক বা অফারের সত্যতা যাচাই করুন।
প্রতারক চক্রগুলো এখন ক্লোনড ফেসবুক পেজ, ভুয়া লিংক বা ভুয়া ফর্ম ব্যবহার করছে। এভাবে তারা গ্রাহকের ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য সংগ্রহ করছে এবং পরে সেই তথ্য ব্যবহার করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খালি করে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, প্রতারণামূলক লেনদেন ঠেকাতে নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে এবং প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনস্বার্থে এই নির্দেশনা অবলম্বন করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।