ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হলেন ৩৯ বছর বয়সী ইউলিয়া স্ভিরিডেনকো। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিগাল পদত্যাগ করার পর বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দেশটির পার্লামেন্ট তাকে এ পদে নিয়োগ দেয়।
কিয়েভভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ২৬২ জন এমপি স্ভিরিডেনকোর পক্ষে ভোট দেন, যেখানে প্রয়োজনীয় ভোট ছিল ২২৬টি। মাত্র ২২ জন সংসদ সদস্য এই মনোনয়নের বিপক্ষে অবস্থান নেন।
এর আগে, ১৪ জুলাই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ইউলিয়া স্ভিরিডেনকোকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়নের প্রস্তাব দেন। ১৬ জুলাই তিনি পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা জমা দেন, এবং একই দিনে ডেনিস শ্মিগালকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয় পার্লামেন্ট।
ইউক্রেনীয় আইন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদে পরিবর্তন হলে পুরো মন্ত্রিসভাকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পদত্যাগ করতে হয়। আজকের অধিবেশনে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যতীত অন্যান্য নতুন মন্ত্রীদের মনোনয়ন উপস্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে ইউলিয়া স্ভিরিডেনকোর নিয়োগ নিয়ে সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কয়েকজন সংসদ সদস্য ও বিশ্লেষক। তাদের মতে, প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থীকে সংসদীয় জোট বা ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে মনোনীত হতে হয়। তারপর প্রেসিডেন্ট তা আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করবেন। কিন্তু এই ক্ষেত্রে জেলেনস্কি নিজে থেকেই প্রস্তাব দিয়েছেন, যা প্রক্রিয়াগত অনিয়ম বলে ধরা হচ্ছে।
স্ভিরিডেনকোকে রাজনৈতিক মহলে জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রে ইয়েরমাকের আস্থাভাজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই নিয়োগের মাধ্যমে ইয়েরমাকের সরকারের ওপর প্রভাব আরও জোরদার হবে।
ক্ষমতাসীন ‘সার্ভেন্ট অফ দ্য পিপল’ দল এ ইস্যুতে ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় বৈঠকও করে। এতে বোঝা যায়, দলীয়ভাবে এই নিয়োগকে অনুমোদন দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, যদিও পদ্ধতিগত প্রশ্ন থেকেই গেছে।