
খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্ৰামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামীয় সম্পত্তিতে গড়ে তোলেন শেখ হাসিনা নামে পাট গোডাউন ও রেস্ট হাউস। ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা রেস্ট হাউস ও গোডাউনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় তারা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।
জানাযায়, গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায় ।
ভারতে বসে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। গতকাল আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড পেজে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রকাশ কে কেন্দ্র করে ফুসে ওঠে আবারো ছাত্র-জনতা । বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা ৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ এর বাড়ি এবং খুলনার শেখ বাড়িখ্যাত শেখ পরিবারের বাড়িটি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ প্রদান করে। যে বাড়িতে আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ বাণিজ্য টেন্ডার বদলি সমস্ত ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে চিহ্নিত ছিল সেই বাড়িটিকে ছাত্র জনতা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এর ঘটনা ঘটে। ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টার দিকে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামীয় সম্পত্তিতে শেখ হাসিনা নামে পাট গোডাউন ও রেস্ট হাউজে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন খুলনার দিঘলিয়া নগরঘাট সংলগ্ন ভৈরব নদীর তীরে মায়ের স্মৃতিবিজড়িত সম্পত্তি এবং তার উপর নির্মিত গোডাউন ঘুরে ঘুরে দেখা যান। এ সময় তার কাছে দিঘলিয়া থেকে চন্দনীমহল পর্যন্ত সড়কের প্রস্তাবনা উত্থাপিত হলে তিনি তাতে সম্মতি প্রদান করেন কিন্তু পরবর্তীতে সড়কটি নির্মানের কোন প্রকার অগ্রগতি দেখা যায়নি। সড়কটি নির্মিত হলে এ অঞ্চলে মিল কলকারখানা গুলোর মালামাল সহজে রপ্তানি করা যেতো এবং নতুন নতুন কলকারখানা গড়ে উঠতো। দুর্নীতির কারণে প্রকল্পটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ০৬ জানুয়ারি ব্যাক্তিগত সফরে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা পাট গোডাউন দেখতে আসেন, এসময় তিনি ৪০ মিনিট অবস্থান করে পাটগুদাম ও রেষ্ট হাউজ ঘুরে দেখেন। এসময় শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা, শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, শেখ তন্ময় এমপি, সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্হান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা-০৪ আসনের সাংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী এমপি, কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার শিলা, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মোঃ রবিউল ইসলাম সিকো ।
পরিবারতন্ত্র , দুর্নীতি, স্বজন প্রীতির কারণে এ অঞ্চলের উন্নয়ন যেমন সম্ভব হয়নি খুলনার শেখ বাড়ি ছিল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু শেখ বাড়ির ইশারা ছাড়া কোন প্রকল্প , নিয়োগ, বদলী কোন কিছুই দক্ষিণাঞ্চলে সম্ভব ছিল না বলে একাধিক সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
Like this:
Like Loading...
Related