ঝিনাইদহে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পরিচয়ধারী কিছু সাইবার দুর্বৃত্তের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এক সম্মানিত ও অভিজাত পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিকার দাবি করেছে। চাঁদা না দেওয়ার অপরাধে মিথ্যা তথ্য, ভুয়া ফেসবুক আইডি ও মানহানিকর প্রচারে অতিষ্ঠ হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চাপড়ী গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে সাঈদ হাসান মনিরুল। উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্য রাজিয়া খাতুন, মমতাজ বেগম, সুমন আহম্মেদ, ফরহাদ, মাহাবুল আলম ও আল-আমিন।
মনিরুল জানান, ২৬ মে ও ২ জুন ‘অগ্রযাত্রা এক্সক্লুসিভ’ নামে একটি ফেসবুক পেজে “ঝিনাইদহসহ চার জেলার গডফাদার মনিরুলের জমজমাট মাদক কারবার” শিরোনামে একটি ভুয়া, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর প্রকাশ করা হয়। এই খবরে তার প্রবাসী ভাই উজ্জল এবং অসুস্থ মা-কে জড়িয়ে অপমানজনক তথ্য ছড়ানো হয়। উল্লেখযোগ্য, তার ভাই ১৮ বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন, অথচ তাকে কক্সবাজারে মাদকের চালান পরিচালনার মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, সাইবার দুর্বৃত্ত সৈয়দ আশিকুজ্জামান জনি ও সাবিদ কাওসার নামের দুই ছাত্রলীগ ক্যাডার চাঁদা দাবি করে ব্যর্থ হয়ে এখন সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করছে।
এছাড়া, পরিবারের পিতা অসুস্থ থাকায় এলাকার সুদ কারবারি আব্দুল মালেক মন্ডলের কাছ থেকে শর্তসাপেক্ষে ঋণ নিলে পরে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে ২ কোটি ১৮ লাখ টাকার ভিত্তিহীন মামলা করা হয়।
পরিবারটি জানায়, তারা বিএনপি পরিবারের সদস্য এবং ১৬ বছর ধরে রাজনৈতিকভাবে নির্যাতনের শিকার। সামনের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন ইচ্ছার কথা জানাতেই প্রতিপক্ষরা মিথ্যাচার ও হেনস্তার পথ বেছে নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, সৈয়দ আশিকুজ্জামান জনি একজন পরিচিত মাদক কারবারি এবং ছাত্রলীগ ক্যাডার। মাগুরা ও ফরিদপুর এলাকায় ফেনসিডিলসহ আটক হয়ে জেল খেটেছেন বলেও পরিবার অভিযোগ করেছে। এই দুর্বৃত্তরা এখন নিরপরাধ ও সম্মানিত পরিবারকে মাদক কারবারির রূপে ফেসবুকে প্রচার করছে।
এই পরিবার জনি ও কাওসারকে গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। সামাজিকভাবে অপদস্থ হওয়া এ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এখন ঝিনাইদহবাসির নৈতিক দায়িত্ব।