ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কানাপুকুরিয়া এলাকায় ট্রাকচাপায় বন্যা খাতুন (১৯) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতের পরিবার দাবি করেছে, এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
রোববার (১৫ জুন) সকালে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের কানাপুকুরিয়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বন্যা খাতুন শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের পদমদি গ্রামের সোহান আলীর স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বন্যা একটি মোটরসাইকেলের পেছনে বসে ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছিলেন। পেছনে একটি ট্রাকও চলছিল। কিছুদূর যাওয়ার পর লোকজন দেখতে পান, বন্যা সড়কে পড়ে আছেন এবং ট্রাকের চাপায় তার মৃত্যু হয়েছে। অথচ যে মোটরসাইকেলটিতে তিনি যাচ্ছিলেন, সেটি দ্রুত ঘুরে ফিরে যায়।
নিহতের পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করেন, “বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিয়মিত নির্যাতন করত। দুই দিন আগে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছিল বন্যা। আমাদের বিশ্বাস, তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ট্রাকের নিচে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “ঘটনার ধরন এবং আগে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের ইতিহাস দেখে এটি নিছক দুর্ঘটনা নয় বলেই মনে হচ্ছে।”
ঘটনার বিষয়ে ঝিনাইদহ আরাপপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, “প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি সড়ক দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। তবে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর তদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
পরিবারের অভিযোগ এবং ঘটনার রহস্যজনক আচরণ দেখে স্থানীয় এলাকাবাসীও নিরপেক্ষ ও গভীর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।