“শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার ফ্যাসিবাদী শাসন আজো কায়েম রয়েছে”—এমন মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেন, ছাত্র ও জনতার মিলিত আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা গেলেও তার প্রতিষ্ঠিত ফ্যাসিবাদী শাসন এখনো দেশের প্রশাসনে গভীরভাবে প্রোথিত।
বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা শহরের সিটি কলেজ এলাকা থেকে শুরু হওয়া এক গণ শোভাযাত্রার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
“হাসিনা দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করছে” — অভিযোগ রাশেদের। রাশেদ খান বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি হাসিনা দিল্লিতে বসে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। বারবার আওয়ামী লীগকে মাঠে নামাতে চায়। তাদের পাণ্ডাদের সক্রিয় করতে চায়। এসব ফ্যাসিস্ট যারা ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলো জালিয়াতি করেছে, সেই ডিসি-এসপিরা আজো ষড়যন্ত্র করছে।”
তিনি এসব রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
রাশেদ খান আরও বলেন, “বাংলাদেশকে নতুন করে গড়তে হবে। একটি গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও ন্যায়বিচারভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের মাধ্যমেই দেশবাসী মুক্তি পাবে।”
তিনি ছাত্র ও তরুণ সমাজকে রাজপথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে রাজনৈতিক দমন-পীড়নের অবসান ঘটে।
গণ শোভাযাত্রাটি সিটি কলেজ এলাকা থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে হরিণাকুন্ডু উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আরাপপুর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এই আয়োজনে গণঅধিকার পরিষদের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। শোভাযাত্রায় ছিল ব্যানার, স্লোগান ও রাজনৈতিক দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড।
এ ধরনের গণশোভাযাত্রা ও বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে রাষ্ট্র সংস্কারের ডাক এখনো রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে অবস্থান করছে। রাশেদ খানের বক্তব্য আগামী দিনে রাজনৈতিক মেরুকরণে কী প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে।